MANDA,NAOGAON. EIIN : 123290
পশ্চাদপদ এই অবহেলিত পল্লী অঞ্চলে দ্বীনি শিক্ষার আলো বিস্তারের জন্য ১৯৩৮ সালে সর্বপ্রথম এলাকার শিক্ষা বান্ধব ব্যক্তিত্ব জনাব মরহুম আলহাজ্ব ফকির মোহাম্মাদ সাং- মালশিরা উপজেলা-তানোর,জেলা রাজশাহী সর্বপ্রথম মজিদপুর জুনিয়র মাদরাসা নামকরণ করিয়া মাদরাসার নামে দেবীপুর মৌজায় ৬৬ শতক ধানী জমি ওয়াকফ করেন। এবং এই স্টেটের নাম দেন আলহাজ্ব ফকির মোহাম্মদ ওয়াকফ স্টেট। এরপর উক্ত ওয়াকফের আওতায় মরহুম ওমর আলী ও মরহুম আসানিয়া কবিরাজ উভয়ের সাং-মজিদপুর, মজিদপুর মৌজায় ১ একর ১১ শতক ভীতা মাটি দান করেন। তখন হইতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সহযোগীতায় মাত্র ২ জন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে মাদরাসার পদযাত্রা শুরু হয়। তাহাদের মধ্য মরহুম আলহাজ্ব ইজ্জতুল্লা, মরহুম আলহাজ্ব রিজকুলাহ, ও মরহুম আসানিয়া কবিরাজ উল্ল্যেখযোগ্য। এভাবে প্রতি বৎসর মাদরাসার উন্নয়ন প্রকল্পে আয়োজিত বার্ষিক ইসলামি জালসায় এলাকার ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিগণ মাদ্রাসার নামে জমি দান করতে থাকেন। ১৯৭২ সালে মাদরাসার জমির পরিমাণ যখন প্রায় ১৮.৫ একর ও নগদ ক্যাশ ৪৫০০০ টাকা যাহা তৎকালীন সেক্রেটারী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আব্বাস আলীর নিকট জমা হয় তখন ১৯৭২ সালে জনাব মরহুম আলহাজ্ব মোসলেম আলী ও জনাব মরহুম আলহাজ্ব লুতফল হক উভয়ের সাকিন মজিদপুর পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য মক্কা শরীফ গমন করেন ও পবিত্র কাবা শরীফের গেলাফ স্পর্শ করিয়া শপথ করেন যে হজ্ব হইতে দেশে ফিরেই এলাকার লোকজন ডেকে একটি সাধারণ সভার আহবানের মাধ্যমে বর্ত্মান চলমান মাদরাসাটিকে ইসলামিয়া আলিয়া মাদরাসায় রুপ দেন। সেই থেকে হাটি হাটি পা পা করে প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সহিত বর্তমান পর্যায়ে উন্নীত হইয়াছে।